যখন নিকোদিম প্রভু যীশুর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তখন প্রভু যীশু নিকোদিমকে যোহন ৩ অধ্যায় ৬ থেকে ৮ পদে বলেছিলেন –

6 মাংস হইতে যাহা জাত, তাহা মাংসই; আর আত্মা হইতে যাহা জাত, তাহা আত্মাই। 7 আমি যে তোমাকে বলিলাম, তোমাদের নূতন জন্ম হওয়া আবশ্যক, ইহাতে আশ্চর্য্য জ্ঞান করিও না। 8 বায়ু যে দিকে ইচ্ছা করে, সেই দিকে বহে, এবং তুমি তাহার শব্দ শুনিতে পাও; কিন্তু কোথা হইতে আইসে, আর কোথায় চলিয়া যায়, তাহা জান না; আত্মা হইতে জাত প্রত্যেক জন সেইরূপ।

“মাংস হইতে জাত” এর অর্থ হল – প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম বা Natural Birth, আর “আত্মা হইতে জাত” এর অর্থ হল – ঈশ্বর থেকে জন্ম নেওয়া বা To Be Born From God।

যখন আমরা জন্মেছিলাম, ইফিষীয় ২ অধ্যায় ১ পদ অনুযায়ী আমরা পাপে মৃত ছিলাম, কিন্তু তীত ৩ অধ্যায় ৫ পদ অনুযায়ী পবিত্র আত্মার নূতনীকরণ দ্বারা ঈশ্বর আমাদের পরিত্রাণ করেছেন।

তো নূতনীকরণ কি ?

উদাহরণ স্বরূপ ধরে নিন, আপনি দোকান থেকে নতুন সিম কার্ড বা নতুন মোবাইল নম্বর নিলেন, কিন্তু সেই নম্বরে কোনও Recharge প্ল্যান নেই, তাই নম্বরটিতে কোনও পরিষেবাও চালু নেই! সেই জন্য আপনি ৩ মাসের Recharge করালেন, আর যখনই আপনি Recharge করালেন, তখনই আপনার নতুন নম্বরটিতে পরিষেবা চালু হয়ে গেল।

এর অর্থ, মৃত পরিষেবাকে আপনি Recharge-এর মাধ্যমে জীবিত করে তুললেন।

              ঠিক সেইরকমই আমরা পাপে মৃত ছিলাম আর ঈশ্বর আমাদের পবিত্র আত্মা দ্বারা জীবন দান করলেন আর নূতনীকৃত করলেন।

              যোহন ৩ অধ্যায় ৬ থেকে ৮ পদে যে “আত্মা” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, সেটির গ্রীক শব্দ হল – PNEUMA (যার অর্থ বায়ু ও আত্মা)।

               যদি আপনি একটি বেলুনকে তার ভেতরে গ্যাস ভরে দিয়ে ছেড়ে দেন, তাহলে দেখতে পাবেন, বেলুনটি হাওয়ায় উড়তে শুরু করেছে। হাওয়া বেলুনটিকে যেদিকে নিয়ে যাবে, বেলুনটিও সেদিকেই যেতে থাকবে।

যীশু এটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, কোনও ব্যক্তি যদি আত্মা দ্বারা পরিচালিত হয়, সেই ব্যক্তি ঈশ্বরের প্রতিরোধ করে না।

 বেলুনটি হালকা হবার দরুন যেমন হাওয়ার প্রতিরোধ করে না, ঠিক তেমনই কোনও ব্যক্তি আত্মা দ্বারা পরিচালিত হলে সে ঈশ্বরের পরিকল্পনাগুলিরও প্রতিরোধ করে না।

রোমীয় ৮ অধ্যায় ১৪ পদে লেখা আছে –

কেননা যত লোক ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা চালিত হয়, তাহারাই ঈশ্বরের পুত্র। 

               অনেক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা এমনটা ভাবতে পারেন, যেহেতু পবিত্র আত্মা আমাদের পরিচালিত করেন, তাহলে বাইবেল পাঠ করার কি প্রয়োজন ? (অনেকে এই যুক্তির সপক্ষে যোহন ১৬ অধ্যায় ১৩ পদ উদ্ধৃতি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।)

তো এর উত্তর হবে – পবিত্র আত্মা আপনাকে অবশ্যই সত্যে পরিচালিত করবেন, কিন্তু একজন শিক্ষকের মতো, অধ্যাপকের মতো।

একটা ক্লাস রুমে কি হয় ?

আমরা যারা স্কুল ও কলেজে পড়ি, তারা জানি যে, ক্লাসরুম আসলে কি।

ক্লাসরুমে একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা আমাদের ক্লাস নিতে আসেন। কিন্তু লক্ষ্যনীয় বিষয় এটাই যে, যিনি আমাদের ক্লাস নেন, তিনি আমাদের পাঠ্য বই থেকেই ক্লাস নেন, পাঠ্যবই এর পাঠ্যসূচীর বাইরে কিন্তু তিনি কোনও ক্লাস নেন না।

                 ঠিক সেরকমই খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের জীবনের শিক্ষক হলেন পবিত্র আত্মা, আর পাঠ্যবই হল পবিত্র বাইবেল, তিনি পাঠ্যবই এর বহির্ভূত কোনও শিক্ষাই আমাদের দেন না।

তাহলে আমাদের ক্লাসরুম কোনটা ?

এর উত্তর হল – আমাদের জীবন ও এই জগতসংসার।

                  আমাদের বাইবেল এই কারণেই পড়া উচিত, কারণ, পবিত্র আত্মা আমাদের বাইবেল থেকেই শিক্ষা দিয়ে থাকেন।

যদি আপনি মনে করেন যে, আপনার মধ্যে তো পবিত্র আত্মা রয়েছে আর তিনি আপনাকে সবকিছুই শিখিয়ে দেবেন! তাহলে সেটা আপনার ভুল ধারণা।

                    যদি আপনি বাইবেল না পড়েন, তাহলে আপনি কীভাবে ঈশ্বরের কৃতকর্মগুলির বিষয়ে জানতে পারবেন ? কীভাবে ঈশ্বরের আজ্ঞাগুলির বিষয়ে জানতে পারবেন ? আর কীভাবেই বা ঈশ্বরের পরিকল্পনাগুলির বিষয়ে জ্ঞাত হবেন ?

                     আপনাকে এই সমস্তকিছু জানবার জন্য বাইবেল অধ্যায়ন করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

                     ঈশ্বর তাঁর সন্তানদের তাঁর রাজ্যবিস্তারের জন্য ব্যবহার করেন, পবিত্র আত্মা তাদের পরিচালিত করলেও ঈশ্বরের বাক্যই তাদের শব্দভাণ্ডার থেকে বহির্ভূত হয়।

যোহন ৮ অধ্যায় ৩১ পদে লেখা আছে –

অতএব যে যিহূদীরা তাঁহাকে বিশ্বাস করিল, তাহাদিগকে যীশু কহিলেন, তোমরা যদি আমার বাক্যে স্থির থাক, তাহা হইলে সত্যই তোমরা আমার শিষ্য

                       আপনি তখনই বাক্যে স্থির থাকতে পারবেন, যখন আপনি বাক্যকে ভালোভাবে জানবেন বা বাক্যকে অধ্যায়ন করবেন। যদি আপনি বাক্যই না পড়েন, তাহলে বাক্যে স্থির থাকার তো কোনও প্রশ্নই ওঠে না!

ফিলিপীয় ২ অধ্যায় ১৫ পদে লেখা আছে -

যেন তোমরা অনিন্দনীয় ও অমায়িক হও, এই কালের সেই কুটিল ও বিপথগামী লোকদের মধ্যে ঈশ্বরের নিষ্কলঙ্ক সন্তান হও, যাহাদের মধ্যে তোমরা জগতে জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাইতেছ

                        আপনি তখনই জ্যোতির্গণের ন্যায় প্রকাশ পাবেন, যখন আপনি ঈশ্বরের বাক্যকে আপনার হৃদয়ে গাঁথবেন।

গীতসংহিতা ১১৯ এর গীত ১৩৩ পদে লেখা আছে –

তোমার বচনে আমার পাদবিক্ষেপ স্থির রাখ,

কোন অধর্ম্ম আমার উপরে কর্ত্তৃত্ব না করুক।

 

তো কীভাবে আপনার পাদবিক্ষেপ স্থির হবে ?

ঈশ্বরের বাক্যের দ্বারা।

আর ঈশ্বরের বাক্যে স্থির থাকলেই অধর্ম আমাদের ওপরে কর্তৃত্ব করতে পারবে না।

যোহন ৬ অধ্যায় ৬৩ পদে যীশু বলেছেন –

আত্মাই জীবনদায়ক, মাংস কিছু উপকারী নয়; আমি তোমাদিগকে যে সকল কথা বলিয়াছি, তাহা আত্মা ও জীবন;

                       কিন্তু আমাদের সবকিছুই তো মাংসময়! আমরা আমাদের মাংসের বিষয়েই তো বেশী চিন্তাভাবনা করে থাকি!

মাংসে তো আমাদের জীবিত থাকতেই হবে, কিন্তু আমরা তো এই মাংসময় জীবনেই ডুবে থাকি! অন্যকিছু নিয়ে তো আমাদের কিছু ভাবার সময়ই নেই!

                       তাই যীশু স্পষ্টই বলেছেন যে, মাংস কিছু উপকারী নয়।

সেই জন্য আমাদের মাংসিক জীবনকে সুখদায়ক করার পেছনে ছুটলে কোনও কিছুই লাভ হবে না, কিন্তু সেই আত্মা ও সেই জীবনের অন্বেষণ করতে হবে, যেটা আমরা ঈশ্বরের বাক্যের মাধ্যমে পেয়ে থাকি।

ঈশ্বর মানুষকে আত্মা কেন দিয়েছেন ?

এর উত্তর হল – ঈশ্বর মানুষকে আত্মা এই কারণেই দিয়েছেন, যাতে মানুষ সেই আত্মার সাহায্যে ঈশ্বরকে জানতে পারে, তাঁর বাক্যগুলিকে বুঝতে পারে আর তাঁর সাথে একটি সম্পর্ক তৈরী করতে পারে।

                       মানুষের আত্মা ও ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা ছাড়াও আরও এক প্রকারের আত্মার অস্তিত্ব আছে, আর সেটি হল মন্দ আত্মা।

                       মন্দ আত্মার পরিচালক হল শয়তান, যে আগে স্বর্গদূত ছিল, কিন্তু অহংকারের কারণে স্বর্গ থেকে বিতারিত হয়েছিল।

                       মানুষের আত্মা খুব সহজেই অন্য কিছুর দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। মানুষের আত্মা পবিত্র আত্মা দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে, আবার মন্দ আত্মা দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে।

                       জগতসংসার আজ মন্দ আত্মা অর্থাৎ শয়তান দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। শয়তান ঈশ্বর ও তাঁর সত্যতা এবং মানুষের মাঝে একটি পর্দা টাঙ্গিয়ে রেখেছে, যাতে মানুষ ঈশ্বরের সত্যতা সম্পর্কে জানতে না পারে।

২ করিন্থীয় ৪ অধ্যায় ৩ থেকে ৪ পদে লেখা আছে –

3 কিন্তু আমাদের সুসমাচার যদি আবৃত থাকে, তবে যাহারা বিনাশ পাইতেছে, তাহাদেরই কাছে আবৃত থাকে। 4 তাহাদের মধ্যে এই যুগের দেব অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করিয়াছে, যেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি যে খ্রীষ্ট, তাঁহার গৌরবের সুসমাচারদীপ্তি তাহাদের প্রতি উদয় না হয়।

                       অবিশ্বাসীদের আত্মা ঈশ্বরের নিয়ম অনুসারে চলে না, সেইসব আত্মা জাগতিক বিষয়েই মগ্ন থাকে কারণ, তারা মন্দতার দ্বারা চালিত হয়।

                       শয়তান নিজেকে এই জগতসংসারের ঈশ্বর রূপে প্রকাশ করেছে। যখন ঈশ্বর আদমকে সৃষ্টি করেছিলেন, তখন এই পৃথিবীর সমস্ত কিছুর ওপরে কর্তৃত্ব করার অধিকার ঈশ্বর আদমকে অর্থাৎ মানুষকে দিয়েছিলেন, যার বর্ণনা আমরা আদিপুস্তক ১ অধ্যায় ২৮ পদে পাই।

তাহলে এই অধিকার শয়তানের কবলে কীভাবে গেল ?

যখন আদম ও হবা পাপ করল, তখনই তারা সমস্ত অধিকার হারিয়ে ফেলল, আর শয়তান জগতের অধিকার মানুষের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল। এভাবেই মানুষ পাপের দাসে পরিণত হল, আর পাপময় স্বভাব প্রত্যেক মানুষের মধ্যে বিরাজ করতে শুরু করল।

গীতসংহিতা ৫১ এর গীত ৫ পদে লেখা আছে –

দেখ, অপরাধে আমার জন্ম হইয়াছে,

পাপে আমার মাতা আমাকে গর্ভে ধারণ করিয়াছিলেন।

 

                       অর্থাৎ জন্ম থেকেই আমাদের মধ্যে পাপ বিরাজ করছে।

ইফিষীয় ২ অধ্যায় ১ পদে লেখা আছে –

আর যখন তোমরা আপন আপন অপরাধে ও পাপে মৃত ছিলে, তখন তিনি তোমাদিগকেও জীবিত করিলেন;

                        তাহলে আমরা আমাদের অপরাধে ও পাপে মৃত ছিলাম, কিন্তু ঈশ্বর আমাদের জীবিত করলেন। কতই না প্রেমময় তিনি!

তীত ৩ অধ্যায় ৫ পদে লেখা আছে –

তখন তিনি আমাদের কৃত ধর্ম্মকর্ম্মহেতু নয়, কিন্তু আপনার দয়ানুসারে, পুনর্জন্মের স্নান ও পবিত্র আত্মার নূতনীকরণ দ্বারা আমাদিগকে পরিত্রাণ করিলেন,

ঈশ্বর আমাদের পরিত্রাণ কীভাবে করলেন ?

আমাদের ধর্ম-কর্ম হেতু নয়, কিন্তু তাঁর দয়ানুসারে পুনর্জন্মের স্নান ও পবিত্র আত্মার নূতনীকরণ দ্বারা। তিনি আমাদের পুরাতন সকল বিষয়কে নতুন করে তুলেছেন। আমরা এখন অনন্তকালের জন্য জীবন লাভ করেছি, আর এটাই হল সুসমাচার।

                           পবিত্র আত্মা দ্বারা নূতনীকরণ না হলে কেউই অনন্ত জীবনে প্রবেশ করতে পারে না। পবিত্র আত্মা যখন আমাদের ওপরে আসে, তখন শয়তানের আত্মার নিয়ন্ত্রণ আমাদের জীবন থেকে ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে যায়, কিন্তু পুরোপুরি ভাবে আমরা শয়তানের আত্মা দ্বারা প্রভাবিত হওয়া থেকে রক্ষা পাই না, আমরা যখনই ঈশ্বরের বাক্য থেকে দূরে সরে যাই, তখনই আমরা শয়তানের কবলে পরি।

                            পবিত্র আত্মা লাভ করার আগে মানুষ শয়তানের দেখানো প্রলোভনে সহজেই পা দিয়ে ফেলত, মানুষের কাছে শয়তানের ছলনা বোঝার মতো ক্ষমতা তখন ছিল না, কিন্তু পবিত্র আত্মা প্রাপ্ত হবার পর মানুষ শয়তানের প্রলোভনগুলি বুঝতে সক্ষম হয়েছে।

                            এই ক্ষমতা লাভ করার পরেও মানুষ শয়তানের প্রলোভনে পা দেয় কারণ, ঈশ্বর প্রত্যেক মানুষকেই নিজ নিজ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অধিকার দিয়েছেন। যখনই কোনও ব্যক্তি ঈশ্বরের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে নিজের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করতে শুরু করে, তখনই সে শয়তানের প্রলোভনের শিকার হয়।

                            পবিত্র আত্মা পাপের বিপক্ষে বিশ্বাসীদের পরিচালিত করতে চান আর সেই জন্যই কোনও পাপ কাজ করার আগে পবিত্র আত্মা বিশ্বাসীদের চেতনা দিয়ে থাকেন, কিন্তু অনেক সময় পবিত্র আত্মার চেতনা উপেক্ষা করে অনেক বিশ্বাসী পাপের পথে পা বাড়ায়।

 ১ করিন্থীয় ২ অধ্যায় ১১ থেকে ১৬ পদে লেখা আছে –

11 কারণ মনুষ্যের বিষয়গুলি মনুষ্যদের মধ্যে কে জানে? কেবল মনুষ্যের অন্তরস্থ আত্মা জানে; তেমনি ঈশ্বরের বিষয়গুলি কেহ জানে না, কেবল ঈশ্বরের আত্মা জানেন। 12 কিন্তু আমরা জগতের আত্মাকে পাই নাই, বরং ঈশ্বর হইতে নির্গত আত্মাকে পাইয়াছি, যেন ঈশ্বর অনুগ্রহপূর্ব্বক আমাদিগকে যাহা যাহা দান করিয়াছেন, তাহা জানিতে পারি।

13 আমরা সেই সকল বিষয়েরই কথা, মানুষিক শিক্ষানুরূপ জ্ঞানের বাক্য দ্বারা নয়, কিন্তু আত্মার শিক্ষানুরূপ বাক্য দ্বারা কহিতেছি; আত্মিক বিষয় আত্মিক বিষয়ের সহিত যোগ করিতেছি। 14 কিন্তু প্রাণিক মনুষ্য ঈশ্বরের আত্মার বিষয়গুলি গ্রহণ করে না, কেননা তাহার কাছে সে সকল মূর্খতা; আর সে সকল সে জানিতে পারে না, কারণ তাহা আত্মিক ভাবে বিচারিত হয়। 15 কিন্তু যে আত্মিক, সে সমস্ত বিষয়ের বিচার করে; আর তাহার বিচার কাহারও দ্বারা হয় না। 16 কেননা

কে প্রভুর মন জানিয়াছে যে,

তাঁহাকে উপদেশ দিতে পারে?”

কিন্তু খ্রীষ্টের মন আমাদের আছে।

                                                        

                         তো যেমন একজন মানুষের অন্তরের বিষয় সকল নিজের আত্মা ছাড়া অন্য একজন মানুষের আত্মা জানতে পারে না, ঠিক তেমনই ঈশ্বরের সমস্ত বিষয় সকল কেবল ঈশ্বরের আত্মাই জানেন। আর সেই আত্মাই আমরা পেয়েছি যেন, ঈশ্বর আমাদের কি কি দান করেছেন, কি কি অনুগ্রহ করেছেন, সে সকল বিষয়ে জানতে পারি। মানুষের জ্ঞান ঈশ্বরের সাথে আমাদের সংযোগ ঘটাতে পারে না, ঈশ্বরের আত্মা দ্বারা আমরা যে জ্ঞান লাভ করি, সেগুলির দ্বারাই আমরা ঈশ্বরের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারি। যারা জাগতিক, তারা আত্মীক বিষয় সকল গ্রহণ করতে চায় না, আর সেই আত্মা দ্বারাই তারা বিচারিত হয়। কিন্তু যারা আত্মার বশে চলে, সে বিচারিত হয় না বরং বিচার করে।

                         ঈশ্বরের আত্মা আমাদের সেই ক্ষমতা দান করেন, যার দ্বারা আমরা সমস্ত জাগতিক ও মন্দ বিষয়গুলি থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারি।

২ তীমথিয় ১ অধ্যায় ৭ পদে লেখা আছে –

কেননা ঈশ্বর আমাদিগকে ভীরুতার আত্মা দেন নাই, কিন্তু শক্তির, প্রেমের ও সুবুদ্ধির আত্মা দিয়াছেন।                                                   

                         আগে আমাদের ভীরুতার অর্থাৎ ভয়ের আত্মা ছিল, যেটা শয়তান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হত, কিন্তু ঈশ্বর আমাদের এমন আত্মা দান করলেন, যার মধ্যে শক্তি আছে।

                         যেসব খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা বাক্যে বেড়ে ওঠে, তারা পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হতে থাকে। যখনই কোনও খ্রীষ্ট বিশ্বাসী আত্মায় পূর্ণ হতে শুরু করে, তখন থেকেই তার মধ্য থেকে ভয়-ভীতি ধীরে ধীরে দূর হতে শুরু করে এবং সে ঈশ্বরের ওপর নির্ভর হতে শিখে যায়।

যারা আত্মার বশে চালিত হয়, তারা জগতকে প্রাধান্য দেওয়া বন্ধ করে ঈশ্বরকেই সর্বপ্রথম স্থান দিয়ে থাকে, আর ঈশ্বরের সমস্ত পরিকল্পনাগুলিকেই নিজেদের জীবনে স্বাগত জানায় এবং আত্মার ফল স্বরূপ তাদের জীবনে – প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা, মৃদুতা ও ইন্দ্রিয়দমন প্রকাশ পায়।

হাল্লেলুইয়া!

 

Tags:- 

Christian Articles, বাংলা খ্রীষ্টীয় নিবন্ধ, bsbbca, bibleshikshabhaskar, BSB Ministry, Bengali Christian Blog, Bangla Gospel, Bengali Gospel, Preaching in Bengali Language, Bible Based Articles, বাংলা প্রচার, বাংলা যীশুর প্রচার, Bangla Christiyo Christio Khristiyo Khristio Prochar, BSB Gospel, Gospel Articles, Bangla Nibondho, Gospel Online, Online Gospel, বাইবেল প্রচার, বাইবেলের বাক্য, Blogger, Jesus Christ, যীশু খ্রীষ্ট,

 


0 Comments