যোহন ২০ অধ্যায় ২৩ পদের প্রকৃত অর্থ | BSB Bengali Christian Articles
যোহন ২০ অধ্যায় ২৩
পদে লেখা আছে –
তোমরা
যাহাদের পাপ মোচন করিবে, তাহাদের মোচিত হইল; যাহাদের পাপ রাখিবে, তাহাদের রাখা হইল।
এই পদটি আমাদের মনে সংশয়
তৈরী করে এবং আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে - প্রভু যীশু কি অন্যের পাপ ক্ষমা করার ও পাপ
ক্ষমা না করার অধিকার তাঁর শিষ্যদের দিয়েছিলেন ?
এই বিষয়টি বোঝার জন্য
ওপরের পদটিকে তার প্রসঙ্গ অনুযায়ী আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে।
প্রভু যীশুর মৃত্যুর পরে
তাঁর শিষ্যগণ ইহুদীদের ভয়ে লুকিয়ে পরেছিলেন, তারা একটি ঘরের মধ্যে একত্রিত হয়েছিলেন
এবং সেই ঘরের সমস্ত দরজা ও জানালা বন্ধ করে রেখেছিলেন, কিন্তু তবুও যীশু সেখানে উপস্থিত
হয়েছিলেন আর তাঁর শিষ্যরা তাকে প্রথমে ভূত মনে করে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। প্রভু যীশু তাঁর
হাত ও তাঁর পাঁজর তাদের দেখিয়ে প্রমাণ দিয়েছিলেন যে, তিনি কোনও ভূত নন, তিনি পুনরুত্থিত
যীশু।
যোহন ২০ অধ্যায় ২১
থেকে ২৩ পদে লেখা আছে –
21 তখন যীশু আবার তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের শান্তি হউক; পিতা যেমন আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, তদ্রূপ আমিও তোমাদিগকে পাঠাই। 22 ইহা বলিয়া তিনি তাঁহাদের উপরে ফুঁ
দিলেন, আর তাঁহাদিগকে কহিলেন, পবিত্র আত্মা গ্রহণ কর; 23 তোমরা যাহাদের পাপ মোচন করিবে, তাহাদের মোচিত হইল; যাহাদের পাপ রাখিবে, তাহাদের রাখা হইল।
প্রথমে আমরা ২১ পদটি বোঝার
চেষ্টা করি, সেখানে যীশু তাঁর শিষ্যদের বলতে চেয়েছেন – যেমন পিতা ঈশ্বর মানবজাতির পরিত্রাণের
সুসমাচার শোনানোর জন্য তাকে এই জগতে প্রেরণ করেছেন, ঠিক তেমনই তিনিও তাঁর শিষ্যদের
পাঠাচ্ছেন সেই কাজটিকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, কেননা তাঁর স্বর্গারোহণের দিনটি এগিয়ে
আসছিল।
যোহন ১৭ অধ্যায় ১৮
পদে প্রভু যীশু পিতার কাছে
তাঁর শিষ্যদের জন্য প্রার্থনার সময় বলেছেন –
তুমি
যেমন আমাকে জগতে প্রেরণ করিয়াছ, তদ্রূপ আমিও তাহাদিগকে জগতে
প্রেরণ করিয়াছি।
এই জন্যই মথি ২৮ অধ্যায়
১৯ থেকে ২০ পদে প্রভু যীশু তাঁর শিষ্যদের বলেছেন –
19 অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য
কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর; 20 আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা
করিয়াছি, সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্য্যন্ত প্রতিদিন
তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।
ঈশ্বরের রাজ্যবিস্তারের
কাজের জন্য যীশু তাঁর শিষ্যদের নিজের প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন, আর সেই দায়িত্ব-ভার
বহন করার জন্য শিষ্যদের আত্মীক শক্তির প্রয়োজন ছিল, কেননা সেই দায়িত্ব-ভার বহন করার
জন্য কেবলমাত্র শারীরিক শক্তিই যথেষ্ট ছিল না।
সেই জন্যই প্রভু যীশু
যোহন ২০ অধ্যায় ২২ পদে শিষ্যদের ওপর ফুঁ দিয়ে বলেছিলেন – পবিত্র আত্মা গ্রহণ কর।
কিন্তু সেই সময় তাঁর শিষ্যদের
ওপর পবিত্র আত্মা নেমে আসেননি, পবিত্র আত্মা তাদের ওপর পঞ্চাশত্তমীর দিনে নেমে এসেছিলেন,
যেমনটা প্রেরিত ২ অধ্যায় ১ থেকে ৪ পদে লেখা আছে।
তাহলে প্রশ্ন আসে এটাই
যে, যদি পঞ্চাশত্তমীর দিনে প্রভু যীশুর শিষ্যগণ পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে থাকে, তবে
যোহন ২০ অধ্যায় ২২ পদে যীশু তাঁর শিষ্যদের ওপর কেন ফুঁ দিয়ে বলেছিলেন - পবিত্র আত্মা
গ্রহণ কর!
এর উত্তর হল – যীশু যখন
তাঁর শিষ্যদের ফুঁ দিয়ে বলেছিলেন – পবিত্র আত্মা গ্রহণ কর, তখন তিনি পঞ্চাশত্তমীর দিনের
অপেক্ষাতেই তা গ্রহণ করার কথা বলেছিলেন। অর্থাৎ তিনি তাঁর শিষ্যদের একটি পূর্বাভাস
দিচ্ছিলেন যে, পবিত্র আত্মা প্রাপ্ত হলে তারা একটি নতুন সৃষ্টি হয়ে উঠবে, যেমনটা ২
করিন্থীয় ৫ অধ্যায় ১৭ পদে লেখা আছে।
আদিপুস্তক ২ অধ্যায় ৭
পদে ঈশ্বর ফুঁ দিয়ে আদমকে শারীরিকভাবে জীবিত করে তুলেছিলেন, এবং প্রভু যীশু তাঁর শিষ্যদের
ওপর ফুঁ দিয়ে তাদেরকে পবিত্র আত্মায় পূর্ণ করে আত্মীকভাবে জীবিত করে তোলার পূর্বাভাস
দিয়েছিলেন, যা পঞ্চাশত্তমীর দিনে ঘটতে চলেছিল।
এছাড়াও তিনি তাঁর শিষ্যদের
সেই প্রতিজ্ঞার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন, যা আমরা লুক ২৪ অধ্যায় ৪৭ থেকে ৪৯ পদে পেয়ে
থাকি, সেখানে লেখা আছে –
47 আর তাঁহার নামে পাপমোচনার্থক
মনপরিবর্ত্তনের কথা সর্ব্বজাতির কাছে প্রচারিত হইবে—যিরূশালেম হইতে আরম্ভ করা
হইবে। 48 তোমরাই এ সকলের সাক্ষী। 49 আর দেখ, আমার পিতা যাহা প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তাহা আমি তোমাদের নিকটে প্রেরণ
করিতেছি; কিন্তু যে পর্য্যন্ত ঊর্দ্ধ হইতে শক্তিপরিহিত না হও, সেই পর্য্যন্ত তোমরা এই নগরে
অবস্থিতি কর।
তো ঈশ্বর যখন কাউকে তাঁর
রাজ্যবিস্তারের কাজের জন্য মনোনীত করেন, তখন তিনি সেই ব্যক্তিকে পবিত্র আত্মার অনুগ্রহ,
দান এবং শক্তি বা সামর্থ্য দিয়ে থাকেন, যার দ্বারা সে ঈশ্বরের কার্য করার জন্য উপযুক্ত
হয়ে ওঠে।
এর পরে যোহন ২০ অধ্যায়
২৩ পদে লেখা আছে –
তোমরা
যাহাদের পাপ মোচন করিবে, তাহাদের মোচিত হইল; যাহাদের পাপ রাখিবে, তাহাদের রাখা হইল।
রোমান ক্যাথোলিক চার্চ,
যারা পিতরকে তাদের প্রথম বিশপ এবং পোপ হিসেবে মানেন, তারা মনে করেন যে, প্রভু যীশু
মানুষের পাপ ক্ষমা করার অধিকার তাঁর শিষ্যদের দিয়েছিলেন এবং সেই অধিকার তারা পরবর্তীকালে
ক্যাথোলিক চার্চের পুরোহিতদের ও পাদ্রীদের দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এটি একেবারেই ভুল শিক্ষা,
কারণ, প্রভু যীশু মানুষের পাপ ক্ষমা করার অধিকার কখনই তাঁর শিষ্যদের দেননি, কিন্তু
এই পদটি পড়লে মনে হয় যেন তিনি তাঁর শিষ্যদের সেই অধিকার দিয়েছেন, কিন্তু ব্যপারটি সেরকম
নয়।
যোহন ২০ অধ্যায় ২৩ পদটির
প্রকৃত অর্থ বোঝানোর আগে আমরা বাইবেলের অন্যান্য কিছু পদ তুলে ধরব, যেগুলির আলোকে এই
পদটির আসল অর্থ স্পষ্টভাবে প্রকাশ পাবে।
মথি ২৬ অধ্যায় ২৮
পদে যীশু বলেছিলেন –
কারণ ইহা আমার রক্ত, নূতন নিয়মের রক্ত, যাহা অনেকের জন্য, পাপমোচনের নিমিত্ত, পাতিত হয়।
ইব্রীয় ৯ অধ্যায়
২২ পদে লেখা আছে –
আর
ব্যবস্থানুসারে প্রায় সকলই রক্তে শুচিকৃত হয়, এবং রক্তসেচন ব্যতিরেকে
পাপমোচন হয় না।
তো এই পদগুলি থেকে এটা
স্পষ্ট যে, রক্তপাত ছাড়া পাপমোচন হয় না।
কিন্তু আমরা পাপের ক্ষমা
কীভাবে পেয়ে থাকি ?
এর উত্তর আমরা প্রেরিত
১০ অধ্যায় ৪৩ পদে পাই, সেখানে লেখা আছে
-
তাঁহার
পক্ষে ভাববাদীরা সকলে এই সাক্ষ্য দেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে তাঁহার নামের গুণে পাপমোচন প্রাপ্ত হয়।
এছাড়াও প্রেরিত ২ অধ্যায়
৩৮ পদে লেখা আছে –
তখন পিতর
তাহাদিগকে কহিলেন,
মন ফিরাও, এবং তোমরা প্রত্যেক জন তোমাদের পাপমোচনের নিমিত্ত যীশু
খ্রীষ্টের নামে বাপ্তাইজিত হও; তাহা হইলে পবিত্র আত্মারূপ দান
প্রাপ্ত হইবে।
আর এই সমস্ত পদগুলি থেকে
এটা স্পষ্ট হয় যে, কেবলমাত্র প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বলিদানের মাধ্যমেই মানুষের পাপ ক্ষমা
হতে পারে, অর্থাৎ যে কেউ তাঁর ওপর বিশ্বাস করে তাকে নিজের ত্রাণকর্তা হিসেবে স্বীকার
করবে, সে নিজের পাপ থেকে ক্ষমা অবশ্যই পাবে।
তো এই পরিপ্রেক্ষিতে যদি
বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে প্রেরিতগণ কাউকে ক্ষমা করুক বা না করুক, তাতে কিছুই
আসে যায় না, কারণ, কোনও ব্যক্তি পাপ থেকে মন ফিরিয়ে, যীশুতে বিশ্বাস করলে এবং তাকে
ত্রাণকর্তারূপে স্বীকার করলেই সে ক্ষমা লাভ করতে পারে।
প্রেরিতগণ কখনই এটা বলতেন
না যে, তারা কখনও কারও পাপ ক্ষমা করতে পারে। এছাড়াও তাদের মধ্যে কেউ কখনও এটা বলতেন
না যে, তোমরা আমার কাছে এস এবং নিজের পাপ স্বীকার কর, তাতে আমি তোমাদের পাপ ক্ষমা করব।
পাপ ক্ষমা করার অধিকার
শুধুমাত্র ঈশ্বরের কাছেই রয়েছে, আর সেই প্রকারে যীশুর কাছেও রয়েছে, কারণ তিনি ঈশ্বর।
মার্ক ২ অধ্যায় ১ থেকে
৭ পদে আমরা একটি ঘটনার বিবরণ পাই, সেখানে লেখা আছে -
1 কয়েক দিবস পরে তিনি আবার কফরনাহূমে
চলিয়া আসিলে শুনা গেল যে, তিনি ঘরে
আছেন। 2 আর এত
লোক তাঁহার নিকটে একত্র হইল যে, দ্বারের কাছেও আর স্থান রহিল না। আর তিনি তাহাদের কাছে বাক্য প্রচার করিতে
লাগিলেন। 3 তখন লোকেরা চারি জন লোক দিয়া এক জন
পক্ষাঘাতীকে বহন করাইয়া তাঁহার কাছে আনিতেছিল। 4 কিন্তু ভিড় প্রযুক্ত তাঁহার নিকটে
আসিতে না পারাতে, তিনি
যেখানে ছিলেন, সেই
স্থানের ছাদ খুলিয়া ফেলিল, আর ছিদ্র
করিয়া, যে খাটে
পক্ষাঘাতী শুইয়াছিল, তাহা
নামাইয়া দিল। 5 তাহাদের
বিশ্বাস দেখিয়া যীশু সেই পক্ষাঘাতীকে কহিলেন, বৎস, তোমার পাপ সকল ক্ষমা হইল।
6 কিন্তু সেখানে কয়েক জন অধ্যাপক
বসিয়াছিল; তাহারা
মনে মনে এইরূপ তর্ক করিতে লাগিল, 7 এ ব্যক্তি এমন কথা কেন বলিতেছে? এ যে ঈশ্বর-নিন্দা করিতেছে; সেই এক জন, অর্থাৎ ঈশ্বর, ব্যতিরেকে আর কে পাপ ক্ষমা করিতে পারে?
ওপরের ৭ পদ অনুযায়ী অধ্যাপকেরা
জানতেন যে, কেবলমাত্র ঈশ্বরই পাপ ক্ষমা করতে পারেন, কোনও মানুষের কাছে সেই অধিকার নেই,
কিন্তু যীশু মার্ক ২ অধ্যায় ১০ পদে বলেছেন – পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করার ক্ষমতা মনুষ্যপুত্রের
আছে।
ঈশ্বরের মধ্যে কোনও পাপ
নেই, কেননা তিনি পবিত্র। আর সেই কারণেই তিনি একজন পাপী মানুষের পাপ ক্ষমা করতে পারেন,
কিন্তু একজন পাপী মানুষ অন্য একজন পাপী মানুষের পাপের ক্ষমা কখনই করতে পারে না।
সেই জন্যই সমগ্র নতুন
নিয়মে যীশুর শিষ্যগণ কাউকে এটা বলেননি যে, তোমার পাপ ক্ষমা হল। তারা সবসময় বলতেন –
যীশুতে বিশ্বাস করলে পাপের ক্ষমা হয়, যেমনটা প্রেরিত ১০ অধ্যায় ৪৩ পদে পিতর কর্ণীলিয়কে বলছিলেন।
এছাড়াও প্রেরিত পৌল ও সীল
প্রেরিত ১৬ অধ্যায় ৩১ পদে কারারক্ষককে বলেছেন –
তুমি ও
তোমার পরিবার প্রভু যীশুতে বিশ্বাস কর, তাহাতে পরিত্রাণ পাইবে।
তাহলে যোহন ২০ অধ্যায়
২৩ পদে প্রভু যীশুর বলা ওই কথাটির অর্থ কি ?
তো এর উত্তর পাওয়ার জন্য
আপনি পদটি ভালোভাবে পড়ুন, সেখানে লেখা আছে –
মোচিত হইল।
তো মোচিত হইল কথার অর্থ
হল – মন পরিবর্তন ও যীশুতে বিশ্বাস দ্বারা ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। মোচিত হইল এর ইংরেজী
শব্দ হল – Forgiven, গ্রীক শব্দে ব্যবহৃত হয়েছে - ἀφέωνται (apheōntai) অর্থাৎ ক্ষমা করে
দেওয়া হয়েছে।
তো যীশু তাঁর শিষ্যদের এমনটা
কেন বলেছিলেন যে, তোমরা যাহাদের পাপ মোচন করিবে, তাহাদের মোচিত হইল ?
এর অর্থ হল – প্রেরিতগণ দ্বারা
সুসমাচার প্রচারের সময়ে, যদি কেউ সেই সুসমাচারে বিশ্বাস করে, তবে প্রেরিতগণের কাছে
সেই ব্যক্তিকে এটা ঘোষণা করার অধিকার ছিল যে – তোমার পাপ ক্ষমা হয়ে গেছে।
ঠিক সেই প্রকারে বাক্যটির দ্বিতীয়
অংশের অর্থ হল - যদি কোনও ব্যক্তি সেই সুসমাচারে বিশ্বাস না করে, তাহলে প্রেরিতগণ সেই
ব্যক্তিকে এটা ঘোষণা করতে পারেন যে – তার পাপ রাখা হল বা ক্ষমা হল না। সেই ব্যক্তির
পাপ ততক্ষন ক্ষমা হবে না, যতক্ষণ না সে সুসমাচারে বিশ্বাস করবে।
প্রভু যীশু যতদিন পৃথিবীতে
ছিলেন, তিনি মানুষের পাপ ক্ষমা করতেন, এবং তা ঘোষণাও করে দিতেন।
লুক ৭ অধ্যায় ৪৮ পদে আমরা দেখতে
পাই, প্রভু যীশু একজন পাপিনী স্ত্রীলোকের পাপ ক্ষমা করেছিলেন, সেখানে লেখা আছে -
পরে তিনি সেই স্ত্রীলোককে কহিলেন, তোমার
পাপ সকল ক্ষমা হইয়াছে।
যীশু স্ত্রীলোকটির পাপ ক্ষমাও করলেন এবং ঘোষণাও করলেন, কারণ
তিনি ঈশ্বর। কিন্তু শিষ্যদের কাছে পাপ ক্ষমা করার অধিকার ছিল না, বরং পাপ ক্ষমা হয়েছে
কি হয়নি, সেটা ঘোষণা করার অধিকার তাদের দেওয়া হয়েছিল।
আজও কারও পাপ ক্ষমা হয়েছে কি হয়নি, সে বিষয়ে একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর
কাছে সেটা ঘোষণা করার অধিকার রয়েছে।
যদি আজ কোনও ব্যক্তি সুসমাচারে বিশ্বাস করে প্রভু যীশুকে নিজের
ত্রাণকর্তা রূপে স্বীকার করে, তাহলে একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হবার দরুন আপনি সেই ব্যক্তিকে
সুসংবাদ দিতে পারেন এবং ঘোষণা করতে পারেন যে, তার পাপ ক্ষমা হয়েছে।
আর সেই প্রকারে যদি কেউ সুসমাচারে বিশ্বাস না করে, তাহলে আপনি
বিনম্রতার সাথে তাকে স্পষ্টভাবে বলতে পারেন, প্রভু যীশুতে বিশ্বাস না করলে পাপের ক্ষমা
হয় না।
কিন্তু একটা
কথা মাথায় রাখতে হবে যে, পৃথিবীর কোনও মানুষের কাছে নিজের এবং অন্য কোনও মানুষের পাপ
ক্ষমা করবার অধিকার নেই।
Tags:-
Christian Articles, বাংলা খ্রীষ্টীয় নিবন্ধ, bsbbca, bibleshikshabhaskar, BSB Ministry, Bengali Christian Blog, Bangla Gospel, Bengali Gospel, Preaching in Bengali Language, Bible Based Articles, বাংলা প্রচার, বাংলা যীশুর প্রচার, Bangla Christiyo Christio Khristiyo Khristio Prochar, BSB Gospel, Gospel Articles, Bangla Nibondho, Gospel Online, Online Gospel, বাইবেল প্রচার, বাইবেলের বাক্য, Blogger, Jesus Christ, যীশু খ্রীষ্ট,
0 Comments