মথি ৮ অধ্যায় ২২ পদের প্রকৃত অর্থ | BSB Bengali Christian Articles
মথি ৮ অধ্যায় ২১
পদে লেখা আছে –
শিষ্যদের
মধ্যে আর এক জন তাঁহাকে বলিলেন, হে প্রভু, অগ্রে আমার পিতাকে কবর দিয়া আসিতে অনুমতি করুন।
এবং মথি ৮ অধ্যায় ২২
পদে লেখা আছে –
কিন্তু
যীশু তাঁহাকে কহিলেন, আমার পশ্চাৎ আইস; মৃতেরাই আপন আপন মৃতদের কবর দিউক।
এখানে আমাদের মনে প্রশ্ন
জাগে যে, সেই শিষ্যটির পিতার কি সত্যি সত্যিই মৃত্যু হয়েছিল ?
এছাড়াও আরও একটা প্রশ্ন
আমাদের মনে জেগে ওঠে, সেটা হল – শিষ্যটির পিতার মৃতদেহকে কি কবরপ্রাপ্ত করার জন্য ফেলে
রাখা হয়েছিল ?
তো এর উত্তর হবে – ‘না’।
ইহুদীরা কোনও মৃত ব্যক্তির
দেহকে ওই দিনই কবরপ্রাপ্ত করতেন, যেদিন তার মৃত্যু ঘটত।
যদি শিষ্যটির পিতার মৃত্যু
সত্যি সত্যিই সেই সময় ঘটে থাকত, তাহলে সে যীশুর সাথে নয়, বরং নিজের বাড়িতে থাকতেন এবং
প্রভু যীশুও তাকে তার পিতার অন্তিম সংস্কার করতে বাঁধা দিতেন না।
তাহলে যীশু ওপরের ২২ পদে
এমনটা কেন বলেছেন ?
এর উত্তর হল – প্রভু যীশু
তাঁর শিষ্যদের একটি বৃহৎ নিগূঢ় তত্ত্ব বোঝাতে চেয়েছিলেন।
সবার প্রথমে আমরা এটা
বুঝতে চেষ্টা করি যে, ঈশ্বরের দৃষ্টিতে জীবিত এবং মৃতের সংজ্ঞাটি আসলে কি।
এখানে জীবিত এবং মৃতের
সংজ্ঞাটি অনেকটাই গভীর, আর সেই কারণেই অনেক অবিশ্বাসীগণ বাইবেলের বাক্যের এই গভিরতাগুলি
বুঝতে গিয়ে চিন্তিত হয়ে পরেন। কখনও কখনও বাক্যের এই গভীরতাগুলি খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদেরকেও
চিন্তিত করে তোলে।
আমরা আপনাকে অত্যন্ত মনোযোগ
সহকারে এই নিবন্ধটি পড়তে অনুরোধ করছি। আপনি যদি মনোযোগ সহকারে নিবন্ধটি পড়েন, তবেই
প্রভু যীশুর এই কঠিন নিগূঢ় তত্ত্বের অর্থ বুঝতে সক্ষম হবেন।
লুক ২৪ অধ্যায় ৫
পদে প্রভু যীশুর কবরের সামনে
যে স্ত্রীলোকেরা এসেছিলেন, তাদেরকে স্বর্গদূতেরা বলেছিলেন –
মৃতদের মধ্যে জীবিতের অন্বেষণ কেন করিতেছ?
যখন সদ্দূকীরা যীশুর সাথে
পুনরুত্থানের বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করছিলেন, তখন মথি ২২ অধ্যায় ৩১ থেকে ৩২ পদে
যীশু তাদের বলেছিলেন –
31 কিন্তু মৃতদের পুনরুত্থান বিষয়ে ঈশ্বর তোমাদিগকে যাহা বলিয়াছেন, তাহা কি তোমরা পাঠ কর নাই? 32 তিনি বলেন, “আমি অব্রাহামের ঈশ্বর, ইস্হাকের ঈশ্বর, ও যাকোবের ঈশ্বর;” ঈশ্বর মৃতদের ঈশ্বর নহেন, কিন্তু জীবিতদের।
যোহন ৫ অধ্যায় ২৫
পদে লেখা আছে –
সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, এমন সময় আসিতেছে, বরং এখন উপস্থিত, যখন মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের রব শুনিবে, এবং যাহারা শুনিবে, তাহারা জীবিত হইবে।
এই বাক্যগুলির দ্বারা
আমরা জানতে পারি যে, পুনরুত্থানের বিষয়টি একদম সত্য।
‘মৃত’ শব্দটি আমরা আমাদের
সাধারণ কথ্য ভাষায় বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকি, যেমন – ‘আজ থেকে তুমি আমার কাছে মৃত’।
বাইবেলে এই ‘মৃত’ শব্দটি
দুই প্রকারের মানুষদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছে।
১. বিশ্বাসীদের ক্ষেত্রে,
যারা এই জগতসংসারের কাছে মৃত।
গালাতীয় ৫ অধ্যায়
২৪ পদে লেখা আছে –
আর
যাহারা খ্রীষ্ট যীশুর, তাহারা মাংসকে তাহার মতি ও
অভিলাষ শুদ্ধ ক্রুশে দিয়াছে।
২. অবিশ্বাসীদের ক্ষেত্রে,
যারা এখনও পর্যন্ত ঈশ্বরের কাছে মৃত। কারণ, তাদের কাছে ঈশ্বরের কোনও গুরুত্ব নেই এবং
তারা জাগতিক ভোগ বিলাসিতায় ডুবে রয়েছে।
যারা বিশ্বাসী এবং জগতের কাছে মৃত, তারা
তো অনন্ত জীবন লাভ করবে, কিন্তু যারা অবিশ্বাসী এবং ঈশ্বরের কাছে মৃত, তাদের শেষ পরিণাম
তো দ্বিতীয় মৃত্যু অর্থাৎ নরক যন্ত্রণা।
সেই জন্যই আমরা মানুষের
কাছে সুসমাচার প্রচার করি, যেন তারা সময় থাকতে থাকতেই নিজেদের মন পরিবর্তন করে প্রভু
যীশুতে বিশ্বাস করতে পারে এবং অনন্ত জীবন লাভ করতে পারে।
ঈশ্বরের দৃষ্টিতে জীবনের
অর্থ হল – যেখানে কোনও মৃত্যু রাজত্ব করবে না, অর্থাৎ অনন্তকালের জীবন, যার কোনও শেষ
নেই।
জগতের লোকেরা এই শারীরিক
জীবনকেই তাদের জীবন মনে করে থাকে, কিন্তু এই জীবনের শেষ পরিণাম হয় মৃত্যু। কিন্তু বিশ্বাসীদের
জন্য শারীরিক মৃত্যুই শেষ পরিণাম নয়, কারণ ঈশ্বর দত্ত অনন্ত জীবন আমাদের জন্য অপেক্ষা
করছে।
আমরা এখানে এটা কখনই বলছি
না যে, শারীরিক জীবনের তত্ত্বাবধান আমাদের করা উচিত নয়, কিন্তু আমরা এখানে এটাই বোঝাতে
চেষ্টা করছি যে, আমাদের শারীরিক জীবনের থেকেও মূল্যবান একটি জীবন আমাদের জন্য অপেক্ষা
করছে, তাই সেই জীবনের অধিকারী হবার জন্য অবশ্যই আমাদের ত্রাণকর্তা প্রভু যীশুর প্রতি
বিশ্বাস করতে হবে।
১ তীমথিয় ৫ অধ্যায়
৮ পদে বাইবেল শিক্ষা দেয়
–
কিন্তু
কেহ যদি আপনার সম্পর্কীয় লোকদের বিশেষতঃ নিজ পরিজনগণের জন্য চিন্তা না করে, তাহা হইলে সে বিশ্বাস অস্বীকার করিয়াছে, এবং অবিশ্বাসী অপেক্ষা অধম হইয়াছে।
আপনার সাংসারিক জীবনের
এবং আপনার পরিবারের তত্ত্বাবধান করার জন্য আপনাকে তো কর্ম করতেই হবে, কিন্তু প্রভু
যীশু বোঝাতে চেয়েছেন – এই জগতের সাথে আমাদের ততটাই সম্পর্ক রাখা উচিত, যতটা এই শারীরিক
জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন, এর থেকে অধিক নয়।
লুক ১২ অধ্যায় ১৫
পদে লেখা আছে -
পরে তিনি
তাহাদিগকে বলিলেন,
সাবধান, সর্ব্বপ্রকার
লোভ হইতে আপনাদিগকে রক্ষা করিও, কেননা উপচিয়া পড়িলেও মনুষ্যের
সম্পত্তিতে তাহার জীবন হয় না।
শয়তানের দৃষ্টিতে জীবনের
অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন, সে জাগতিক জীবনকেই বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে এবং জগতের মানুষদেরও
সেরূপ শিক্ষা দেয়। জাগতিক ভোগ বিলাসিতাকেই জীবনের পরিপূর্ণতা হিসেবে শয়তান জগতের মানুষদের
সামনে উপস্থাপিত করে চলেছে।
প্রভু যীশুতেই আপনি এই সাংসারিক জীবনের পরিপূর্ণতা
খুঁজে পাবেন, তিনি আমাদের আত্মীক জীবন দান করে থাকেন, যার দ্বারা আমরা জাগতিক ভোগ বিলাসিতা
ছাড়াই আন্তরিকভাবে সন্তুষ্টি লাভ করতে পারি।
অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন
যে – আপনি তো ধনবান নন, আপনি তো অসুস্থ ব্যক্তি, তাহলে কীভাবে আপনি আপনার জীবনে আনন্দ
খুঁজে পাচ্ছেন ?
তো এর উত্তরে একজন বিশ্বাসী
বলবেন – প্রভু যীশুর বাক্যের নিগূঢ় তত্ত্ব আমাদের আন্তরিকভাবে আনন্দিত করে, যে কেউ
যীশুর বাক্যের আস্বাদ গ্রহণ করে, কেবল সেই এই বিষয়টি বুঝতে সক্ষম হয়।
যদি আপনি পুরোপুরিভাবে
বিশ্বাস করেন, এই জীবনের সমস্যাগুলি তো ক্ষণিকের এবং মৃত্যুর পর অনন্ত জীবন আপনার জন্য
অপেক্ষা করছে, তখন আপনি এই জীবনের সমস্ত কঠিন পরিস্থিতিগুলির সাথে লড়াই করার শক্তি
অনুভব করবেন, মৃত্যুও আপনাকে ভয় দেখাতে পারবে না।
১ যোহন ৫ অধ্যায়
১১ থেকে ১২ পদে লেখা আছে –
11 আর সেই সাক্ষ্য এই যে, ঈশ্বর আমাদিগকে অনন্ত জীবন দিয়াছেন, এবং সেই জীবন তাঁহার পুত্রে আছে। 12 পুত্রকে যে পাইয়াছে সে সেই জীবন পাইয়াছে; ঈশ্বরের পুত্রকে যে পায় নাই, সে সেই জীবন পায় নাই।
যেসব লোকেরা নিজেদের পাপ
থেকে মন ফিরিয়ে যীশুকে তাদের ত্রাণকর্তা রূপে স্বীকার করে না, তারা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে
মৃত। সেই সমস্ত লোকেরা তাদের দৈহিক মৃত্যুর পর অনন্ত জীবন দেখতে পাবে না, বরং তাদের
স্থান হবে অগ্নিহ্রদ।
প্রকাশিত বাক্য ২০
অধ্যায় ১১ থেকে ১৫ পদে লেখা
আছে –
11 পরে আমি “এক বৃহৎ শ্বেতবর্ণ সিংহাসন ও যিনি তাহার উপরে বসিয়া আছেন,” তাঁহাকে দেখিতে পাইলাম; তাঁহার সম্মুখ হইতে পৃথিবী ও আকাশ
পলায়ন করিল; “তাহাদের নিমিত্ত আর স্থান পাওয়া গেল না”। 12 আর আমি দেখিলাম, ক্ষুদ্র ও মহান্ সমস্ত মৃত লোক সেই
সিংহাসনের সম্মুখে দাঁড়াইয়া আছে; পরে “কয়েকখান পুস্তক খোলা গেল”, এবং আর একখানি পুস্তক, অর্থাৎ জীবন-পুস্তক খোলা গেল, এবং মৃতেরা পুস্তকসমূহে লিখিত প্রমাণে
“আপন আপন কার্য্যানুসারে” বিচারিত হইল। 13 আর সমুদ্র আপনার মধ্যবর্ত্তী মৃতগণকে সমর্পণ করিল, এবং মৃত্যু ও পাতাল আপনাদের
মধ্যবর্ত্তী মৃতগণকে সমর্পণ করিল, এবং তাহারা প্রত্যেকে আপন আপন
কার্য্যানুসারে বিচারিত হইল। 14 পরে মৃত্যু ও পাতাল অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল; তাহাই, অর্থাৎ সেই অগ্নিহ্রদ, দ্বিতীয় মৃত্যু। 15 আর জীবন-পুস্তকে যে কাহারও নাম লিখিত পাওয়া গেল না, সে অগ্নিহ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল।
তো যখন সেই শিষ্যটি প্রভু
যীশুকে বলেছিলেন –
হে প্রভু, অগ্রে আমার পিতাকে কবর দিয়া আসিতে অনুমতি করুন।
তখন সে এটা বলছিল না যে,
আমার পিতা আমার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পরে রয়েছে, বরং সে এটা বলছিল যে, আমার পিতা বৃদ্ধ
হয়েছে, তার জীবনের অবশিষ্ট আর অল্প কিছু কালই পরে রয়েছে, তাই যখন তার মৃত্যু ঘটবে এবং
যখন আমি তাকে সমাধিস্থ করব, তখন তারপর থেকে আমার আর কোনও দায়িত্বই থাকবে না এবং তারপর
আমি নিশ্চিন্তে আপনার সাথে যুক্ত হতে পারব।
ঠিক এরকমই চিন্তাধারা
আজকাল অনেক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়, তারা অনেক সময় বলে থাকেন –
১. এই জীবনে আমি আরও একটু অর্থ উপার্জন করি, তারপর প্রভুর কাজ করব, ২. স্কুল শেষ করে
কলেজে উঠেছি, এরপর বাইবেল কলেজ থেকে ডিগ্রী পাওয়ার পরেই আমি ঈশ্বরের কাজ শুরু করব,
৩. আমি আগে আমার পরিবারের জন্য সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা করি, তারপর প্রভুর কাজে নিযুক্ত
হবো, ইত্যাদি।
কিন্তু মথি ৬ অধ্যায়
৩৩ পদে প্রভু যীশু বলেছেন –
কিন্তু
তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্ম্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।
অনেকে মনে করেন যে, যখন
আমাদের তিন কাল গিয়ে এক কালে এসে উপস্থিত হবে, তখন আমাদের ঈশ্বরের বিষয়ে চিন্তা করা
উচিত, কিন্তু উপদেশক ১২ অধ্যায় ১ পদে বাইবেল শিক্ষা দেয় –
আর তুমি
যৌবনকালে আপন সৃষ্টিকর্ত্তাকে স্মরণ কর, যেহেতু দুঃসময় আসিতেছে, এবং সেই বৎসর সকল সন্নিকট হইতেছে, যখন তুমি
বলিবে, ইহাতে আমার প্রীতি নাই।
সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণে
রাখার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তাকে মনে করা নয়, বরং তাঁর আজ্ঞা সকল পালন করা।
ধরুন আপনি ঈশ্বরকে স্মরণ
করার জন্য বৃদ্ধ বয়সের অপেক্ষা করছেন, কিন্তু আপনি যখন বৃদ্ধ হবেন, আপনার শরীরে যখন
তেমন ক্ষমতা থাকবে না, আপনার দন্তের অস্তিত্ব লোপ পাবে, আপনার দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পাবে,
আপনার ত্বক সঙ্কুচিত হবে, আপনার কেশ শুক্লবর্ণ হয়ে উঠবে, এছাড়াও আরও অনেক বার্ধক্যজনিত
সমস্যা দেখা দেবে, তখন কীভাবে আপনি ঈশ্বরের রাজ্যবিস্তারের কাজ করবেন ? আপনি তো তখন
শারীরিকভাবে অক্ষম থাকবেন, আর সেই সময় ঈশ্বরের কাজ করার জন্য আপনার উৎসাহও থাকবে না!
এছাড়াও আপনি জানেন না
যে, বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত আপনি জীবিত থাকবেন কি না, তাই বৃদ্ধ বয়সের অপেক্ষা করাটা বোকামি
ছাড়া আর কিছুই নয়।
আপনি কেবল যুবক বয়সেই
পুরো দমে ঈশ্বরের রাজ্যবিস্তারের কাজ করার জন্য সক্ষম থাকবেন, তাই উপদেশক ১২ অধ্যায়
১ পদে এরকমটা লেখা রয়েছে।
সেইজন্য আজই আপনি সুসমাচার
প্রচারের কাজে এগিয়ে আসুন, যাতে অন্যেরাও সেই সুসমাচারে বিশ্বাস করে অনন্ত জীবনের অধিকারী
হতে পারে এবং অনন্ত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে।
একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসী
হিসেবে আপনি অনন্ত জীবনের জন্য মনোনীত, আপনি এখন আর ঈশ্বরের দৃষ্টিতে মৃত নন। তাহলে
আপনি এই জগতের মৃত লোকদের মতো কীভাবে জীবনযাপন করতে পারেন ? আপনার অন্তরে ঈশ্বরের আত্মা
বিরাজমান, যার জন্য আপনিও অনন্তকালের জন্য জীবিত থাকবেন। সেই জন্য আপনার আচার ব্যবহারও
জীবিত ব্যক্তিদের মতোই হওয়া প্রয়োজন, যেমনটা যীশু তাঁর ওই শিষ্যটিকে বুঝিয়েছিলেন।
আর সেই কারণেই যীশু মথি
৮ অধ্যায় ২২ পদে বলেছেন –
মৃতেরাই
আপন আপন মৃতদের কবর দিউক।
যার অর্থ হল – সাংসারিক
ও অবিশ্বাসী পিতাকে প্রেম তো অবশ্যই করতে হবে এবং তার সমস্ত দায়িত্বও পালন করতে হবে,
কিন্তু শুধুমাত্র তাতেই ব্যস্ত থেকো না, তোমার জীবনের অধিক সময় কেবল তাতেই অতিবাহিত
কোরো না, ততটাই কর, যতটা করা প্রয়োজন।
খুব দরকার পরলে সেই সমস্ত
কাজগুলি করার জন্য মৃতেরা অর্থাৎ অন্য সাংসারিক ও অবিশ্বাসী লোকেরা রয়েছে, কিন্তু তুমি
নিজের মূল্যবান সময় আমার কাজে খরচ কর, কেননা তাতেই জীবন রয়েছে।
কলসীয় ৩ অধ্যায় ৩
পদ বলে –
কেননা
তোমরা মরিয়াছ,
এবং তোমাদের জীবন খ্রীষ্টের সহিত
ঈশ্বরে গুপ্ত রহিয়াছে।
লুক ১৪ অধ্যায় ২৬
পদে প্রভু যীশু বলেছেন –
যদি কেহ
আমার নিকটে আইসে,
আর আপন পিতা, মাতা, স্ত্রী সন্তানসন্ততি, ভ্রাতৃগণ, ও ভগিনীগণকে এমন কি, নিজ প্রাণকেও অপ্রিয় জ্ঞান না করে, তবে সে
আমার শিষ্য হইতে পারে না।
Tags:-
Christian Articles, বাংলা খ্রীষ্টীয় নিবন্ধ, bsbbca, bibleshikshabhaskar, BSB Ministry, Bengali Christian Blog, Bangla Gospel, Bengali Gospel, Preaching in Bengali Language, Bible Based Articles, বাংলা প্রচার, বাংলা যীশুর প্রচার, Bangla Christiyo Christio Khristiyo Khristio Prochar, BSB Gospel, Gospel Articles, Bangla Nibondho, Gospel Online, Online Gospel, বাইবেল প্রচার, বাইবেলের বাক্য, Blogger, Jesus Christ, যীশু খ্রীষ্ট,
0 Comments