অনেকেই এই প্রশ্নটা করে থাকেন, বাইবেলে পুরাতন নিয়মে ঈশ্বরের স্বভাব ও নতুন নিয়মে ঈশ্বরের স্বভাব কেন আলাদা ? পুরাতন নিয়মে ঈশ্বর খুব রাগী কিন্তু যখন আমরা নতুন নিয়ম পড়ি, তখন কেন তিনি এত দয়ালু হয়ে গেলেন ?

এই প্রশ্নের উত্তর জানবার আগে বাইবেলকে তার সন্দর্ভ অনুযায়ী পড়তে হবে, যখন আমরা সন্দর্ভ অনুযায়ী বাইবেল পড়ব, তখন আমরা বুঝতে পারব যে, পুরাতন নিয়মের ঈশ্বর ও নতুন নিয়মের ঈশ্বরের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।

পুরাতন নিয়মের বইগুলিতে যেসব ঘটনা গুলি রয়েছে সেগুলোর প্রথম অধ্যায়, দ্বিতীয় অধ্যায়, তৃতীয় অধ্যায় ও অন্যান্য অধ্যায়ে আর অন্যান্য বইগুলিতে, আমাদের মনে হয় যে, সেগুলি ২ দিন বা ৩ দিন অন্তর অন্তর ঘটেছিল, কিন্তু এমনটা নয়।

ঈশ্বর যদি কনান দেশকে ধ্বংস করে থাকেন, তাহলে সেটা করতে ঈশ্বর কোনও তাড়াহুড়ো করেননি, দীর্ঘ অনেক বছর, ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঈশ্বর তাদের সাবধান করেছিলেন।

ইস্রায়েলের লোকেরা জঙ্গলের মধ্যে ছিলেন, আপনার কি মনে হয় তারা এমনি এমনিই জঙ্গলের মধ্যে ছিলেন ? ঈশ্বর তাদের সুযোগ দিচ্ছিলেন, যাতে তারা মন পরিবর্তন করে, কিন্তু তারা মন ফেরায়নি।

তাহলে ঈশ্বর সেই সময়ও দয়ালু ছিলেন, কিন্তু পুরাতন নিয়মের ঘটনাগুলি একটার পর একটা বিলম্ব ছাড়াই লেখা হয়েছিল, কিন্তু এখন আমরা যখন সেগুলো পড়ি, তখন আমাদের মনে হয় যে খুব তাড়াতাড়ি ঈশ্বর ন্যায় করেছিলেন।

প্রথমত, ঈশ্বরের চরিত্র পুরাতন নিয়মে যেমন ছিল, নতুন নিয়মেও ঠিক তেমনই রয়েছে। ঈশ্বর পুরাতন নিয়মেও পাপকে ঘৃণা করতেন আর নতুন নিয়মেও ঘৃণা করেন।

পুরাতন নিয়ম থেকে Reference দেওয়া যেতে পারে –

দ্বিতীয় বিবরণ ৩২ অধ্যায় ৩৫ পদ, গীতসংহিতা ১৪৫ এর গীত ২০ পদ, যিশাইয় ৫৯ অধ্যায় ১৮ পদ, যিহিস্কেল ১৮ অধ্যায় ২০ পদ ইত্যাদি।

ঈশ্বরের এই একই চরিত্র আপনি নতুন নিয়মেও দেখতে পারেন –

রোমীয় ২ অধ্যায় ৫ থেকে ৬ পদ, রোমীয় ৬ অধ্যায় ২৩ পদ, রোমীয় ১২ অধ্যায় ১৯ পদ, ২ থিষলনীকীয় ১ অধ্যায় ৮ পদ, প্রকাশিত বাক্য ২১ অধ্যায় ৮ পদ ইত্যাদি।

দ্বিতীয়ত, নতুন নিয়মের মতো ঈশ্বর কি পুরাতন নিয়মেও শান্তির ঈশ্বর ছিলেন  ?

এটা জানার জন্য বাইবেলে পুরাতন নিয়ম দেখুন –

গননাপুস্তক ৬ অধ্যায় ২৬ পদ, গীতসংহিতা ১১৯ এর গীত ১৬৫ পদ, হিতোপদেশ ১৬ অধ্যায় ৭ পদ, যিশাইয় ২৬ অধ্যায় ৩ পদ, যিশাইয় ৩২ অধ্যায় ১৭ পদ ইত্যাদি।

নতুন নিয়ম থেকে দেখুন –

লুক ২৪ অধ্যায় ৩৬ পদ, যোহন ১৪ অধ্যায় ২৭ পদ, রোমীয় ১৫ অধ্যায় ১৩ পদ, ফিলিপীয় ৪ অধ্যায় ৭ পদ, ২ করিন্থীয় ১৩ অধ্যায় ১১ পদ ইত্যাদি।

তৃতীয়ত, ঈশ্বর কি পুরাতন ও নতুন নিয়মে একই ভাবে ক্ষমাশীল ?

এর উত্তর হবে হ্যা।

আপনি পুরাতন নিয়ম দেখতে পারেন –

যাত্রাপুস্তক ৩৪ অধ্যায় ৭ পদ, নহিমিয়ের পুস্তক ৯ অধ্যায় ১৭ পদ, গীতসংহিতা ৮৯ এর গীত ১৪ পদ,  গীতসংহিতা ১১৯ এর গীত ৩২ পদ, গীতসংহিতা ১৪৫ এর গীত ৯ পদ,  যিশাইয় ৫৪ অধ্যায় ৮ পদ,  মীখা ৬ অধ্যায় ৮ পদ ইত্যাদি।

নতুন নিয়মে দেখুন –

মথি ৬ অধ্যায় ১৬ পদ, যোহন ৮ অধ্যায় ১১ পদ, রোমীয় ২ অধ্যায় ৪ পদ, রোমীয় ৫ অধ্যায় ৮ পদ, ইফিষীয় ১ অধ্যায় ৭ পদ, ২ পিতর ৩ অধ্যায় ৯ পদ, ১ যোহন ১ অধ্যায় ৯ পদ ইত্যাদি।

                    আমরা ঈশ্বরের ৩ টি প্রধান চরিত্রের বিষয় তুলে ধরলাম।

বাইবেলের এই সমস্ত পদগুলি পড়লে আমরা বুঝতে পারি, ঈশ্বর আগে যা ছিলেন, এখনও তাই আছেন, শুধু তাঁর ন্যায় করার পদ্ধতিটি বদলেছে। আগে পাপের বেতন মৃত্যু ছিল, কিন্তু এখন রোমীয় ৬ অধ্যায় ২৩ পদ অনুযায়ী আমরা ঈশ্বরের পূর্ব পরিকল্পিত অনুগ্রহ দ্বারা প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে অনন্ত জীবনের অধিকারী হয়েছি।

                     আমেন।


Tags:- 

Christian Articles, বাংলা খ্রীষ্টীয় নিবন্ধ, bsbbca, bibleshikshabhaskar, BSB Ministry, Bengali Christian Blog, Bangla Gospel, Bengali Gospel, Preaching in Bengali Language, Bible Based Articles, বাংলা প্রচার, বাংলা যীশুর প্রচার, Bangla Christiyo Christio Khristiyo Khristio Prochar, BSB Gospel, Gospel Articles, Bangla Nibondho, Gospel Online, Online Gospel, বাইবেল প্রচার, বাইবেলের বাক্য, Blogger, Jesus Christ, যীশু খ্রীষ্ট,

0 Comments